প্রকাশিত: Sat, Mar 4, 2023 6:26 PM
আপডেট: Sat, May 10, 2025 12:47 PM

নিষেধাজ্ঞার কারণে শস্য চুক্তি নবায়নে অনীহা রাশিয়ার, গম আমদানি নিয়ে শঙ্কা

ইমরুল শাহেদ: ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক খাদ্য সংকট মোকাবিলায় গত বছরের ২২ জুলাই জাতিসংঘ ও তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের তিনটি বন্দর দিয়ে নিরাপদে শস্য রপ্তানিতে যে চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিলল, তার মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে আগামী ১৮ মার্চ। ইতোমধ্যে গত বছরের ১৭ নভেম্বর চার মাসের জন্য একদফা নবায়ন হয়। এই চুক্তি নবায়ন না হলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও গম আমদানির সমস্যায় পড়তে পারে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। সময়টিভি 

জাতিসংঘের ওয়েবসাইটের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, গম আমদানিতে স্পেন ও তুরস্কের পরই রয়েছে বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় শস্য আমদানিতে বাংলাদেশের অবস্থান এখন পর্যন্ত অষ্টম। এ সময় বিশ্বের ৪৫টি দেশ ইউক্রেন থেকে ২ কোটি ২৭ লাখ টন শস্য আমদানি করেছে। মোট শস্যের মধ্যে ইউক্রেন গম রফতানি করেছে ৬৩ লাখ টন।

যুদ্ধের জেরে একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে রাশিয়া। এতে শস্য চুক্তি নবায়ন করতে চাইছে না দেশটি। চুক্তি নবায়নে দেশটি দিয়েছে নতুন শর্ত। রাশিয়া বলছে, রপ্তানিতে আর্থিক লেনদেন, অবকাঠামো ও বিমার ওপর নিষেধাজ্ঞায় বিশ্ববাজারে রাশিয়ার শস্য ও সার রপ্তানি বড় ধরনের বাধার মুখে পড়েছে। বাধাহীনভাবে বাজারে প্রবেশের সুযোগ দেয়া হলেই চুক্তিতে ফিরবে দেশটি।

এদিকে গত বছরের ১ আগস্ট আগের চুক্তি কার্যকরের পর থেকে চলতি বছরের ১ মার্চ পর্যন্ত বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা ১১টি জাহাজে ৬ লাখ টন গম আমদানি করেছেন। ইউক্রেনের মোট গম রফতানির ১০ শতাংশ এসেছে বাংলাদেশে।

দেশের মোট আটা তৈরির গমের একটি মোটা অংশ আমদানি করা হত ভারত থেকে। তবে বিধিনিষেধের কারণে গত বছর নভেম্বরের শুরুতে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হওয়ায় গমের এখন অন্যতম বড় উৎস ইউক্রেন। তবে রাশিয়া চুক্তিতে না থাকলে ইউক্রেন থেকে আমদানির সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে রাশিয়া থেকে গম আমদানি বাড়াতে হবে। এদিকে রাশিয়া থেকে আমদানিতে ঋণপত্র খুলছে না ব্যাংকগুলো। এতে বাংলাদেশেও গমের সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব